ফল আল্লাহর এক অপূর্ব নিয়ামত। কথায় আছে ‘ফলই বল’। আদিকালে মানুষ বন-বাদাড়ে ঘুরে বেড়াতেন এবং ফল খেয়েই জীবনধারণ করতেন। যে এলাকার মানুষের জন্য যে ধরনের পুষ্টি বেশি দরকার, সৃষ্টিকর্তা ওই এলাকায় সেধরনের ফলই দিয়েছেন। তাই দেশি ফল পুষ্টিতে ভরপুর। বিশেষকরে আমাদের জন্য বেশি প্রয়োজনী পুষ্টিগুণে।
এছাড়া বর্তমানে ফল অর্থকরী ফসল। ফল গাছ কাঠ দেয়, ছায়া দেয় এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। ফলের রয়েছে ভেষজ বা ঔষধি গুণ। নিয়মিত ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং সুস্থ-সবল জীবন লাভ করা যায়।
খনার বচনে আছে-
বারো মাসে বারো ফল
না খেলে যায় রসাতল।
আমাদের দেশের অধিকাংশ লোক পুষ্টিহীনতার শিকার। এখানকার প্রায় ৮৮ ভাগ লোক ভিটামিন-এ, ৯০ ভাগ লোক ভিটামিন-সি, ৯৩ ভাগ লোক ক্যালসিয়ামের অভাবে ভোগে। এ ছাড়া প্রায় ৭০ ভাগ পুরুষ, ৭৩ ভাগ শিশু ও ৭৫ ভাগ মহিলা রক্তাল্পতা রোগে ভোগে। আমাদের এ পুষ্টি ঘাটতি পূরণে ফল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
পুষ্টিবিদদের মতে, সুস্থ সবল দেহের জন্য দৈনিক জনপ্রতি ১১৫ গ্রাম ফল খাওয়া দরকার। তা জোগান দেয়া সম্ভব না হলে কমপক্ষে ৬০ গ্রাম ফল খাওয়া বাঞ্ছনীয়।
এই ভিডিওতে আমরা জানবো দেশী বিভিন্ন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে। জানবো কোন ফলে কী উপাদান আছে। তবে হ্যাঁ বন্ধু, তার আগে আপনি যদি আমাদের চ্যানেলে নতুন হয়ে থাকেন, তাহলে এখনই চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে নিন। আর সাথে থাকা ঘণ্টাবাটনে ক্লিক করতে ভুলবেন না যেন।
তাহলে আসুন জেনে নিই দেশি কয়েকটি ফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে-
১. কাঁঠাল
বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল । বাংলাদেশের কৃষি তথ্য সার্ভিসের বর্ণনা অনুযায়ী, কাঁঠালে প্রচুর এনার্জি। কাঁঠালে শর্করার পরিমাণ বেশি। কাঁঠাল গ্রীষ্মকালের ফল। পাকা কাঁঠালে প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ৯০ কিলোক্যালরি এবং খনিজ লবণের পরিমাণ প্রায় ০.৯ গ্রাম।
কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে আমিষ, শর্করা ও ভিটামিন থাকায় তা মানবদেহের জন্য বিশেষ উপকারী।
এতে আছে থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম, জিঙ্ক এবং নায়াসিনসহ বিভিন্ন প্রকার পুষ্টি উপাদান। কাঁঠালের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ আছে যা রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। এছাড়া উচ্চ রক্তচাপের উপশম হয়।
২. আম
স্বাদ, পুষ্টি ও গন্ধে অতুলনীয় জনপ্রিয় একটি ফল আম।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের বর্ণনা অনুযায়ী, আয়রন ও সোডিয়ামের ঘাটতি পূরণে বেশ কার্যকরী আম। আম রক্তে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ডায়াবেটিসের সাথে লড়াই করে। ক্যান্সার কোষকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে।
আমে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ প্রোটিন, যা জীবাণু থেকে দেহকে সুরক্ষা দেয়। আমে রয়েছে ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে। চোখের চারপাশের শুষ্কভাবও দূর করে। পাকা আমে কাঁচা আমের তুলনায় শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে।
কাঁচা আম দেহের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। লিভারের সমস্যায় কাঁচা আম খাওয়া উপকারী। এটি বাইল এসিড নিঃসরণ বাড়ায়। অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াকে পরিষ্কার করে। দেহে নতুন রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে।
৩. পেয়ারা
বাংলাদেশে এখন সারা বছর ধরেই পেয়ারা পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় ৫১ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ১১.২০ গ্রাম শর্করা, ০.৯০ গ্রাম আমিষ, ১০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ২১০ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি আর ১০০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন থাকে। কারো কারো জন্য পেয়ারা অম্বলের তৈরি করলেও বেশিরভাগ মানুষের জন্য এই ফলটি উপকারী।
৪. তরমুজ
৫. লিচু
৬. আমড়া
৭. জাম
৮. সফেদা
৯. বেল
১০. লটকন
১১. জামরুল
প্রিয় দর্শক, ফলের মধ্যে খাদ্যশক্তি থাকে, যা শরীরের ভেতর থেকে ক্ষতিকর চর্বি বের করে দেয়, তাই ফল সবার জন্য উপকারী। পুষ্টিমানের দিক থেকেও সব ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, খনিজ পদার্থ থাকে। বিশেষ করে রঙিন ফলে লাইকোপেট আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, তা শরীরের ভেতরের বিষাক্ত জিনিস দূর করে দেয় এবং ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে। তো চেষ্টা করবেন অবশ্যই মৌসুমি ফলগুলো খেতে। সম্প্রতি আপনি কী কী ফল খেয়েছেন জানান মন্তব্যে...
======
Email Us : gnewsbd2010@gmail.com
Website : www.gnewsbd.com
================
If you have any specific concerns about this video or our position on the fair use defense, please contact us at gnewsbd2010@gmail.com so we can discuss amicably. Thank you.